গ্রীন টি পৃথিবীতে প্রাপ্ত সর্বাধিক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ স্বাস্থ্যকর পানীয়।
স্বাস্থ্যকর এবং উপকারী পানীয় হিসেবে হাজার বছর ধরে চিন ও জাপানে ব্যবহৃত হয়ে আসছে গ্রীন টি।
গ্রিন টির মধ্যে রয়েছে ভিটামিন এ, বি, সি ভিটামিন ডি, এবং ভিটামিন ই, এছাড়াও রয়েছে জিংক, ক্যাফেইন, মেঙ্গানিজ, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদান।
চা-গাছের সতেজ সবুজ পাতা গ্যাস ওভেনে ড্রাই করে গ্রিন টি প্রস্তুত করা হয়। এর রং হালকা হলদে সবুজ। এই চায়ে পলিফেনল ও ফ্ল্যাভোনেয়েড নামের দুটি অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট আছে, যা চা তৈরির পরও অক্ষুণ্ণ থাকে।
গ্রিন টিতে থাকা পলিফেনল, ফ্ল্যাভোনয়েড এবং ক্যাটেচিনের মতো শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে ।
গ্রিন টি ওজন কমাতে এবং মোটা হওয়ার ঝুঁকি কমাতে সহায়ক।
শরীরের বিভিন্ন অংশের অতিরিক্ত মেদ ঝরিয়ে দেয় এই গ্রীন টি।
গ্রিন টি একটি গুরুত্বপূর্ণ ক্যাটেচিনের উৎস, একটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা ফ্যাট বার্ন বা চর্বি কমাতে সহায়ক। গবেষণায় দেখা গেছে যে গ্রিন টি পান করার পাশাপাশি এক্সারসাইজ করলে ফ্যাট বার্নিং ১৭% পর্যন্ত বৃদ্ধি পায়।
আমেরিকান জার্নাল অফ ক্লিনিকাল নিউট্রিশন এ ২০০৯ সালে প্রকাশিত গবেষণায় দেখা গেছে গ্রিন টি প্রতিদিন প্রায় ৭০-১০০ অতিরিক্ত ক্যালরি বার্ন করতে পারে । যা সময়ের সাথে সাথে ওজন কমাতে সহায়ক।
আমেরিকান জার্নাল অফ ক্লিনিকাল নিউট্রিশন এ ২০০৯ সালে প্রকাশিত গবেষণায় দেখা গেছে গ্রিন টি প্রতিদিন প্রায় ৭০-১০০ অতিরিক্ত ক্যালরি বার্ন করতে পারে । যা সময়ের সাথে সাথে ওজন কমাতে সহায়ক।
গ্রিন টিতে থাকা পলিফেনল, ফ্ল্যাভোনয়েড এবং ক্যাটেচিনের মতো শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে ।
গ্রিন টি টাইপ ২ ডায়াবেটিস প্রতিরোধে সহায়ক, কেননা গ্রিন টি ইনসুলিন সংবেদনশীলতা বাড়ায় এবং রক্তে শর্করার স্তর কমায়।
গ্রিন টিতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সহায়ক।
নিয়মিত গ্রিন টি পান, স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে সহায়ক।
গ্রিন টি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রেখে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমায়।
গ্রিন টি তারুণ্য ধরে রাখতে সহায়তা করে
গবেষণায় দেখা গেছে গ্রিন টিতে থাকা ক্যাফেইন এবং এল-থিয়ানিন মস্তিষ্কের মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে এবং স্মৃতিশক্তি উন্নত করে এছাড়াও তথ্য সংরক্ষণে মস্তিষ্ককে সাহায্য করে।
2020 এ প্রকাশিত এক গবেষণায় দেখা গেছে গ্রিন টি তে থাকা থিয়ানিন নামের অ্যামাইনো এসিড stress and anxiety অর্থাৎ দুশ্চিন্তা, অবসাদ ও হতাশা কমিয়ে বডিকে রিলাক্স এবং শান্ত করতে সহায়তা করে । এছাড়াও গ্রিন টি ফোকাস এবং মনোযোগ ধরে রাখতে সহায়তা করে থাকে।
গ্রিন টি আমাদের শরীরকে সতেজ ও উৎফুল্ল রাখতে সাহায্য করে।
নিয়মিত গ্রিন টি পান করলে দাঁত ক্ষয়ের ঝুঁকি কম থাকে।
গ্রিন টি পলিফেনল ইমিউন ফাংশন বৃদ্ধি করতে সহায়ক।
এটি হজমপ্রক্রিয়া ভালো করে। ফলে খাবার দ্রুত হজম হয়।